ব্রেকিং নিউজ
  • বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা আলাপ হলো বাইডেন-মোদির

২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক আসছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস

সময় স্বল্পতায় ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনা

বাংলা পত্রিকা রিপোর্ট:
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯
...
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক আসছেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন। এই অধিবেশনে তিনি ৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে ঢাকার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি ভাষণ দেবেন।
এদিকে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক আগমণ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও তাঁকে সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও সময় স্বল্পতার কারণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নিউ ইয়র্ক আগমন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন-এর সহযোগিতায় প্রবাসীদের সাথে সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশ সোসাইটি ও ড. শওকত আলীর নেতৃত্বে প্রবাসী নাগরিক সমাজের ব্যনারে প্রফসর ইউনুসকে একটি নাগরিক সংবর্ধনা দেয়ার দাবী উঠেছিল। সোসাইটির পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে সোসাইটি সংবর্ধনার আয়োজন করবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারারা।
ড. ইউনূসের সংবর্ধনায় যোগ দিতে আগ্রহী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী তাদের নামের তালিকা জমা দিয়েছেন কনস্যুলেটে অফিসে। ব্যক্তিগতভাবে, সাংগঠনিকভাবে বা ই-মেইলে এই তালিকা দেয়া হয়েছে। যা হলের ক্যাপাসিটির চাইতে অনেক বেশী বলে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না হওয়ার খবর শুনে অনেকেই আশাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কনসাল জেনারেলের সাথে বিএসএ’র প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
বিএসএ’র প্রধান উপদেষ্টা ও কমিউনিটি অ্যক্টিভিষ্ট সৈয়দ আল আমীন রাসেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিএসএ), নিউইয়র্ক-এর প্রতিনিধিরা গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সাতে তার অফিসে সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় করেন। ঐদিন বিকেল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকে ইসলাম মোহাম্মদ, অবনি শরীফ, মোহাম্মদ নূমের হোসেন, ইউসূফ আলী মিয়া, সাবরিনা মাহমুদ, ফজলে রাব্বী জিএম (নিলয়), এস এম ফয়সাল, রকিবুল হাসান জিএম, সৈয়দ আবতানী, মুজাফফর আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফল এবং বিএসএ’র কর্মকান্ড ও কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী প্রবাসী ও নাগরিক সমাজ-এর মতবিনিময় সভা
প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আয়োজকরা এ লক্ষ্যে ঢাকায়, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য বলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী প্রবাসী সচেতন নাগরিক সমাজ ও প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা, তাঁকে বিমানবন্দর ও জাতিসংঘে ভাষণদানকালে স্বাগত জানানোর বিষয়াদি আলোচনায় স্থান পায়। সভায় আলোচনা হয়, সরকার প্রধান ড. ইউনূস ৫ দিনের সফরে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রোববার নিউইয়র্কে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। সাবেক সরকারের সমর্থকেরা যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা।
সবংর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা. ড. ইউনূসের ছাত্র প্রফেসর ড. শওকত আলী বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে স্যারকে সংবর্ধনার চিন্তা-ভাবনা করেছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনার তাগিদ থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহায়ক শক্তিগুলোর সাথে বসার প্রয়োজবোধ করি বলেই আমরা মতবিনিময় সভায় বসেছি। তিনি বলেন, সংবর্ধনার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করা হলেও কোন সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ঢাকার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
সভায় অংশ নেন রীতা রহমান, সাঈদ তারেক, মোশাররফ হোসেন সবুজ, আব্দুস সবুর, অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জনি, পারভেজ সাজ্জাদ, রাসিক মালিক, মোম্মদ সেলিম, কামরুল হাসান, শাহ আলম, মির্জা আলী আজম, এম রহমান মাসুম, মাজহারুল ইসলাম মিরন, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ মজুমদার, গিয়াস উদ্দীন, ড. শফি চৌধুরী, ইমরান রন শাহ, মোহাম্মদ রানা, শামসুল ইসলাম মজনু, হানিফ চৌধুরী, আমলাক হোসেন ফয়সল, ডা. মোহাম্মদ কাশেম, মোহাম্মদ আলী, হেলাল উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ এ কাশেম, বদিউল আলম, আশরাফ হোসেন, ফেরদৌস আলম, ডা. আতাউল হক ওসমানী, কাজী জহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালক ছিলেন আহমেদ সোহেল।
সভায় বক্তারা বলেন, দূতাবাস, মিশন ও কনস্যুলেটে এখনো অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিরা অবস্থান করছে।
এ সময় শওকত আলী বলেন, সরকার যদি তাদের ওপর আস্থা রেখে অনুষ্ঠান করতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের কি করার আছে? তবে আমরা উদ্বেগের কথা যথাযথ জায়গায় জানাতে পারি। কোনভাবেই যেন ড. ইউনূসের সন্মানহানি না হয় সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় অর্ধ শতাধিক প্রবাসী তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। যাদের অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে সবংর্ধনা আয়োজনের পক্ষে কথা বলেন। এজন্য একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব করেন অনেকে।

সর্বশেষ