ব্রেকিং নিউজ
  • বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা আলাপ হলো বাইডেন-মোদির

স্মরণ

স্মৃতিতে আমার খালা আসমা আব্বাসী

শবনম ফারুকী
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯
...
আসমা আব্বাসীর সাথে লেখিকা শবনম ফারুকী
আমার খালা আসমা আব্বাসী আমার কচি খালা, হ্যাঁ এই নামেই ডাকতাম তাঁকে। আপনাদের সকলের অতি প্রিয় সুসাহিত্যিক, প্রিয়ভাষিণী আসমা আব্বাসী। একটি চির সজীব আর কচি মন ছিল তাঁর। আমার খালা আসমা আব্বাসী ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক, লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাগ্নি আর খালাদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ। তাঁর কর্মময় জীবন সম্পর্কে তো কম-বেশি সবাই জানেন।

আজ তাই আমি বলবো একজন খালা হিসেবে তাঁকে কেমন দেখেছি। সদা হাস্যময়ী, সদা প্রফুল্ল, মমতাময়ী খালা কখনো নেতিবাচক কথা বলতেন না। সকলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন তিনি। আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন তিনি, তাঁর আদর আর ভালবাসা পেয়ে ধন্য হয়েছি আমি। তিনি নিউইয়র্কে যতবারই এসেছেন, আমার সাথে দেখা করেছেন ততবারই। খালা-ভাগ্নি কত রাত জেগে গল্প করেছি তার হিসেব নেই। দেশে যখনই গেছি, উতলা হয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত খালা বহুবার। তাঁর হাস্যেজ্জ্বল মুখটি দেখে পথের ক্লান্তি দূর হয়ে যেত নিমিষেই। তারপরই আমাকে কি খাওয়াবেন, কি উপহার দেবেন এই চিন্তায় বিভোর খালা। যতই বলি আমার জন্য অত উতলা হয়োনা, কিন্তু কে শোনে কার কথা? ওযে মানে না মানা....টিফিণ ক্যারিয়ার ভর্তি করে কত মজার খাবার, চমৎকার সব উপহার পাঠাতেন তিনি। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল এসব উপহারের সাথে পাঠানো ভালবাসায় ভরা খালার ছোট্ট চিঠি।

আমার মা প্রফেসর সালমা চৌধুরী খালার নাম দিয়েছিলেন ‘আনন্দময়ি’। খালা নিউইয়র্কে আসলেই যেন মনে হতো ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে.....’। সত্যি সব আনন্দ-হাসি-গান ফুরিয়ে গেছে আজ। চারিদিক নিশ্চুপ। কচি খালা, তোমার শূণ্যতা যে পুরণ হবে না কখনো।

সর্বশেষ