ব্রেকিং নিউজ
  • বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যা আলাপ হলো বাইডেন-মোদির

রানির কফিন দেখে জ্ঞান হারালেন রাজপরিবারের সদস্য, শোভাযাত্রায় যে স্মৃতি দাগ কেটেছে প্রিন্স উইলিয়ামের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:০৯
...

রাজকীয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বুধবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেওয়া হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ। রানির জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস, তার দুই পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্স হ্যারিসহ রাজপরিবারের সদস্যরা এতে অংশ নেন। তবে এই শোভাযাত্রা প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম।বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রাজকীয় বাসভবন স্যান্ড্রিংহাম হাউজের বাইরে শোকাহত মানুষের উদ্দেশে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, বৃহাস্পতিবার এক শোভাযাত্রায় রানির কফিনের পেছনে হাঁটার ঘটনা তার মায়ের শেষকৃত্যের ‘কিছু স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।’এর আগে রাজকীয় বাসভবনের বাইরে শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান ছিল ‘চ্যালেঞ্জিং’।

১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার ভাই প্রিন্স হ্যারি তাদের প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানার কফিনের পেছনে হেঁটেছিলেন। ওই ঘটনা অনেকের মনে দাগ কাটে।

২০১৭ সালে সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের সঙ্গে আলাপকালে সেই ঘটনার অবতারণা করেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি বলেন, ‘সেদিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘মাত্রই মা মারা গেছেন। আর তার কফিনের পেছন পেছন দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে হাঁটতে হলো! আমার চারপাশে হাজার হাজার মানুষ। টেলিভিশনে লাখ লাখ মানুষ আমাকে দেখছে। আমার মনে হয় না, কোনো পরিস্থিতিতেই কোনো শিশুকে এমন কিছু করতে বলা উচিত। ১২ বছরের একটি শিশুকে এমনটা করতে বলা কোনোভাবেই ঠিক নয়।’


রানির কফিন দেখে জ্ঞান হারালেন রাজপরিবারের সদস্য
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন দেখে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের একজন সদস্য। বুধবার রানির মরদেহবাহী কফিন লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সদস্যের নাম লেডি গ্যাব্রিয়েলা উইন্ডসর। তার বাবা প্রিন্স মাইকেল অব কেন্ট হলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চাচাতো ভাই।

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রধান প্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে বুধবার রাজকীয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ ওয়েস্ট মিনস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। রানির জ্যেষ্ঠ সন্তান ও যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস, তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি সেই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত ছিলেন। ওয়েস্ট মিনস্টার হলে রানির মরদেহ রাখার পর সম্মানসূচক গান ফায়ার করা হয়। সেখানে আগে থেকে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা ছাড়াও বহুসংখ্যক মানুষ রানির কফিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজকীয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহবাহী কফিন ওয়েস্ট মিনস্টার হলে নেওয়ার সময় সেখানে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে লেডি গ্যাব্রিয়েলা উইন্ডসরকে। তবে রানির কফিন দেখে সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন যা অন্যদের মধ্যে কিছু ঝামেলার সৃষ্টি করে।

হ্যালো ম্যাগাজিনর তথ্য অনুসারে, রানির পরিবারের কিছু সদস্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিনবাহী রাজকীয় শোভাযাত্রাটি প্রত্যক্ষ করতে ওয়েস্ট মিনস্টার হলে জড়ো হয়েছিলেন। উইন্ডসরের মা এবং প্রিন্সেস মাইকেল অব কেন্টকেও এই দৃশ্য কষ্টের সঙ্গে দেখতে দেখা গেছে।

রাজকীয় এই শোভাযাত্রার সময় মিসেস উইন্ডসর অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর তাকে আর পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে দেখা যায়নি বলে হ্যালো ম্যাগাজিন জানিয়েছে। রাজকীয় এই পরিবার এবং রানির মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। মহামান্য ২০১৯ সালে থমাসের সঙ্গে রাজকীয় বিয়েতে যোগদান করেছিলেন এবং সেখানে তাদের মধ্যে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত ধরা পড়েছিল।

আউটলেটটি আরও বলেছে, মিসেস উইন্ডসর ভেঙে পড়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা অনুযায়ী অব্যাহত ছিল এবং রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা সেখানে রানির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে এখন ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়েছে। শেষকৃত্যের দিন অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত থাকবেন।

এই পুরো সময় ওয়েস্টমিনস্টার হলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে যাতে করে জনসাধারণ রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। সেখানে রাজকীয় পতাকা রয়াল স্ট্যান্ডার্ডে রানির কফিনটি আচ্ছাদিত রয়েছে এবং তার ওপর বসানো রয়েছে রাজ মুকুট ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন, রাজকীয় গোলক এবং রাজদণ্ড।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রিটেনের রাজপরিবারের প্রধান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৯৬ বছর বয়স্ক রানি বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

সর্বশেষ