ট্রাম্পকে সমর্থন দেবেন না মাইক পেন্স

বাংলা পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩
...
সুস্থ বিবেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অনুমোদন বা সমর্থন দেবেন না তার সময়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। শুক্রবার একথা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মাইক পেন্স। আগামী ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে রিপাবলিকান দল থেকে প্রাইমারি ভোট শেষ হওয়ার অনেক আগেই নিশ্চিত হয়েছে যে, ট্রাম্পই হবেন এ নির্বাচনে দলের প্রার্থী। কিন্তু ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা, নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের ভিত্তিহীন জালিয়াতির অভিযোগ, নীতিগত পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিমত পোষণ করেন মাইক পেন্স। এবার প্রাইমারি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনিও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না দেখে তিনি সটকে পড়েন। আস্তে আস্তে অন্যরাও সরে পড়েন। বিবেক রামাস্বামী সহ মঞ্চ কাঁপানো নেতারা পরাজিত হয়ে ট্রাম্পকে অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু মাইক পেন্স বললেন ভিন্ন কথা।

তিনি ফক্স নিউজকে বলেছেন, আমাদের ক্ষমতার চার বছরে যেসব রক্ষণশীল এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছি- ট্রাম্প তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এজেন্ডা অনুসরণ করছেন। এ কারণে আমি সুস্থ বিবেক নিয়ে তার এই প্রচারণায় সমর্থন দিতে পারছি না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন মাইক পেন্স। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু অক্টোবরে নিজের সেই দৌড় বন্ধ করে দেন। এ বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে কাউকে অনুমোদন বা সমর্থন দেয়ার বিষয়টিও ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু এর আগে তিনি রিপাবলিকান দল থেকে মনোনীত ব্যক্তির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। এখন ট্রাম্পকে তিনি মনোনয়ন বা সমর্থন না দেয়ায় ট্রাম্পও আঘাত পেয়েছেন। তিনি অনুতপ্ত হয়ে বলেছেন- আমিই তাকে (মাইক পেন্স) বেছে নিয়েছিলাম। তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিলাম। কিন্তু রাজনীতিতে মানুষ অত্যন্ত আনুগত্যহীন হতে পারে।

ডনাল্ড ট্রাম্প-মাইক পেন্স প্রশাসনের রেকর্ড নিয়ে মাইক পেন্স খুব গর্বিত। তিনি বলেন, কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট রক্ষণশীলদের ইস্যু থেকে দূরে সরে গেছেন। এক্ষেত্রে তিনি গর্ভপাত নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ এবং টিকটকে ফেরার মতো ইস্যু তুলে ধরেন। মাইক পেন্স বলেন, আমার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে এটা পরিষ্কার করেছি যে, বিভিন্ন ইস্যুতে আমার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে মতের বড় রকমের অমিল আছে। আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়েই শুধু এই মতের অমিল নয়, একই ঘটনা (২০২১ সালের) ৬ই জানুয়ারির ঘটনায়ও। ফক্স নিউজের ‘দ্য স্টোরি উইথ মার্থা ম্যাককালাম’- অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পেন্স।

তিনি বলেন, যখনই দেখতে পেয়েছি তিনি প্রার্থী হচ্ছেন, তখনই দেখতে পেয়েছি জাতীয় ইস্যুতে মুখোমুখি বিতর্কে দাঁড়ানো থেকে তিনি সরে গেছেন। মানবজীবনের পবিত্রতা থেকে তাকে সরে যেতে দেখেছি। সর্বশেষ গত সপ্তাহে চায়না ইস্যুতে তার কঠোর অবস্থান বদলে ফেলা, বাইটড্যান্সের টিকটক বিক্রিতে আমাদের প্রশাসনের প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন তা পরিষ্কার করেননি মাইক পেন্স। বলেন, নিজের ভোট নিজের কাছেই রাখবো। তিনি এও বলেছেন, কখনোই তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভোট দেবেন না। তৃতীয় কোনো দলের প্রার্থীকেও সমর্থন দেবেন না মাইক পেন্স।

সর্বশেষ