প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে মুসলিমবিরোধী সহিংসতার নিন্দা জাতিসংঘের

বাংলা পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩
...
ইসলামভীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মুসলিমবিরোধী সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধ ও ইসলামবিদ্বেষ বন্ধের জন্য বিশেষ দূত নিয়োগের আহ্বান জানিয়ে নতুন এই প্রস্তাব পাস হয়। ১৫ই মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পাকিস্তান। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, কাতার, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া চীনসহ ১১৫টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ৪৪টি দেশ। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায়কালে সন্ত্রাসী টেরেন্ট সরাসরি সেখানে গুলি করে। এতে ৫১ জন মুসল্লি নিহত হন। এর প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক দিবসে ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী প্রস্তাবটি পাস হলো। জাতিসংঘের গণমাধ্যম শাখা থেকে প্রচারিত খবরে বলা হয়, ওআইসির পক্ষে পাকিস্তানের আনা প্রস্তাবটি পাস হওয়ার আগে কিছু বক্তব্য সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছিল ইউরোপসহ পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশ। কিন্তু প্রস্তাবে সংশোধনীর মতামত শেষ পর্যন্ত দু’বার ভোটের বৈতরণী পার হতে পারেনি।

সংশোধনীতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের পরিবর্তে ফোকাল পয়েন্ট ও পবিত্র কোরআন অবমাননার বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার মতো প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁ দিবসটি উপলক্ষে বলেছেন, বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্য ও ভুলভাবে উপস্থাপনা বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করছে। অসহিষ্ণুতা, গৎবাঁধা ধারণা ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, অনলাইনে হিংসাত্মক বক্তব্য বাস্তব জীবনের সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই ঘৃণাপ্রসূত আধেয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের হয়রানি হাত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। গুতেরাঁ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যসহ অন্য বাধা মুসলমানদের মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন করছে।

সর্বশেষ