ব্রেকিং নিউজ
  • সারা দেশে গুলি-সংঘের্ষ শিক্ষার্থী-পুলিশ সদস্যসহ একদিনে রেকর্ড ৯৮ জন নিহত

নিউইয়র্কে ঊনবাঙালের ৪১ তম সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০১
...
নিউইয়র্কে ঊনবাঙালের ৪১ তম সাহিত্য সভা গত ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকেল পাঁচটায় জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুভসূচনা করেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তি জহির। তিনি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলাপচারিতা পর্বটি পরিচালনা করার জন্য কবি সুমন শামসুদ্দিনকে আহবান জানান। এবারের আলাপচারিতার বিষয় ছিল ‘প্রবাসে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা’। আলোচক ছিলেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, আবৃত্তিজন আহসান হাবিব এবং সাংবাদিক ও সমাজসেবী শেখ সিরাজ।

কাজী জহিরুল ইসলাম আলোচনার পটভূমি তৈরি করতে গিয়ে সৃজনশীল সাহিত্যের ধারাটি সবচেয়ে বেশি অবহেলিত বলে উল্লেখ করেন, তিনি সমাজের বিত্তবানদের আহবান জানান প্রকৃত প্রতিভা শনাক্ত করে তাদের তুলে ধরার কাজে সহযোগিতার জন্য।

আহসান হাবিব তার বক্তব্যে বলেন সস্তা বিনোদনের প্রতি পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহ অধিক পরিলক্ষিত হয়, তাদেরকে মেধাবিকাশে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শেখ সিরাজ ব্যাখ্যা করে বোঝান কেন সমাজের বিত্তবানেরা প্রতিভা বিকাশে এগিয়ে আসেন না। কারণ তারা সচেতন নাগরিক নন, শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য দরকার পাঠাভ্যাস। এই জায়গাটিতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

দর্শকদের মধ্যে থেকে অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী জানতে চান, ডায়াস্পরা সাহিত্য নিয়ে একটা বিতর্ক আছে, এর প্রকৃত অর্থ কি? কবি মিয়া এম আসকির বিজ্ঞান ও কবিতার দ্বন্দ্ব নিয়ে কিছুটা আলোকপাতের অনুরোধ জানান, কবিতা লেখার জন্য প্রকরণ মানা কি খুব দরকার? তিনি আরো জানতে চান, কেন বিত্তবানেরা গান-বাজনার পৃষ্ঠপোষকতায় অধিক আগ্রহী হন, সাহিত্যের প্রতি হন না। ড. নার্গিস আহমেদ ঊনবাঙাল শব্দটির অর্থ জানতে চান, এ ছাড়া সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব রবিউল হাসান রুবেল এই সভার তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করেন। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ও আহসান হাবিব দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। এ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন দিমা নেফারতিতি, নাসিমা আখতার, সুমন শামসুদ্দিন, আহসান হাবিব, সুলতান বোখারী, মিয়া এম আসকির, রেণু রোজা, মুন্না চৌধুরী, সোহানা নাজনীন, নানজীব ইমাম চৌধুরী, নিবরাস ইমাম চৌধুরী, হুমায়ূন কবীর, ওয়াহেদ হোসেন, দেওয়ান নাসের রাজা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এস এম মোজাম্মেল হক প্রমূখ। পাঠ পর্বটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব ছিল পঠিত লেখাগুলোর অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বিশ্বসাহিত্যের নানান দৃষ্টান্ত ও উদ্ধৃতি তুলে ধরে পঠিত প্রত্যেকটি লেখার সবল ও দুর্বল দিক চিহ্নিত করেন এবং লেখকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানের শেষে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী কবি কাজী জহিরুল ইসলামের জন্মোৎসব উদযাপনের জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে শেখ সিরাজ আহবায়ক, দিমা নেফারতিতি এবং সুমন শামসুদ্দিন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আহসান হাবিবকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়। উপস্থিত কবির ভক্ত, সুহৃদ ও অনুরাগী সকলেই এই আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আগামী ২৭ জানুয়ারী শনিবার, সন্ধ্যা ছয়টায় জ্যামাইকার স্টার কাবাবে আহবায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা আহবান করা হয়েছে। খরব প্রেস বিজ্ঞপ্তি'র।

সর্বশেষ