ব্রেকিং নিউজ
  • সারা দেশে গুলি-সংঘের্ষ শিক্ষার্থী-পুলিশ সদস্যসহ একদিনে রেকর্ড ৯৮ জন নিহত

ফরক্লোজারের পথে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’, সংবাদ সম্মেলনে বদরুল-রোকন


প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১২
...
বিশেষ প্রতিনিধি: জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল ইসলাম যে বাড়ি ক্রয় করেছিল তা নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গত ৮ মাসে মইনুল ইসলামের কাছ থেকে মর্টগেজ না পাওয়ায় তা (কথিত জালালাবাদ ভবন) ফরক্লোজারের পথে। সভাপতি বদরুল খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম নেতৃত্বাধীন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা এর এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে সংগঠনের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার আত্মসাৎকারী বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর রোববার জ্যাকসন হাইটসের মামা’স পার্টি হলে আয়োজিত জণাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, মইনুল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে জালালাবাদের অর্থ তুলে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ ক্রয় করে। এই অর্থ আদায়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। সংগঠনের নেতারা আশা করছেন মাননীয় আদালতের সুবিচারে জালালাবাদবাসী এই অর্থ ফেরত পাবে। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, জালালাবাদের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল ইসলাম যে বাড়িটি ক্রয় করেছিলেন তা নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গত ৮ মাসে মইনুল ইসলামের কাছ থেকে মর্টগেজ না পাওয়ায় তা ফরক্লোজারে যাবার পথে। এমতাবস্থায় জালালাবাদের প্রায় সোয়া ৩ লাখ ডলার নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। বিষয়টি বৃহত্তর সিলেটবাসীকে অবহিত করার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে বদরুল খান বলেন, মইনুল ইসলাম ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ এর বাড়িটি ক্রয়কালে অবৈধভাবে জালালাবাদের ফান্ড থেকে ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে ডাউন পেমেন্ট প্রদান করেন। বাড়িটি ক্রয়কালে সংগঠনের তহবিল থেকে অর্থ নেয়ায় আমরা লিয়েন হিসেবে দাবি করি। কিন্তু মইনুল ইসলাম গত ৮ মাস ধরে মর্টগেজ না দেয়ায় বাড়িটি ফরক্লোজারে যাবার উপক্রম হয়েছে। তার কাগজপত্র আমরা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। আর বাড়িটি ব্যাংক নিয়ে নিলে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে রোকন হাকিম বলেন, মইনুল ইসলামের অর্থ কেলেংকারির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আশা করি সহসাই তার নিষ্পত্তি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বদরুন নাহার খান মিতা, সদরুন নুর, সহ সভাপতি মোহাম্মাদ লোকমান হোসেন লুকু, সফিউদ্দিন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, কার্যকরী সদস্য শামীম আহমদ, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ মজিদ, আহমেদ জিলু, জুনেদ এ খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক ট্রাস্টি এডভোকেট নাসির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ

সর্বশেষ