স্যালুট নেওয়ার চ্যালেঞ্চ নিয়েই শেফ হয়েছি : টমি মিয়া

সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২, ২০:১১
...
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শেফ লন্ড প্রবাসী ‘টমি মিয়া’। তার আসল নাম মোহাম্মদ আজমান মিয়া। সিলেটের সন্তান ছোটবেলায় লন্ডনে এসে স্কুলে পড়াশুনা করতে গেলে তার আসল নামের জায়গা দখল করে নেয় ‘টমি মিয়া’। ভোজন বিলাসী মানুষ কেনা জানে তার নাম। লন্ডন পেরিয়ে ভারত-বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সকল দেশেই তার পরিচিতি। তবে তিনি নিজেকে বাংলাদেশী মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে আর ‘বাংলাদেশী খাবার’ বিশ্বাসীর কাছে তুলে ধরতেই বেশী পছন্দ করেন।

বাংলাদেশী ফুড প্রমোট করতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্কে এসেছেন। তাকে ঘিরে টাই টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যায় মিডিয়া দুটির বার্তা কক্ষে এক আড্ডার আয়োজন করে। টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা’য় কর্মরত স্টাফ ও এলামাই সহ কমিউনিটির সিলেকটেড বিশিষ্ট জনরাই এই আড্ডায় যোগ দেন। ফলে অন্যরকম এক সন্ধ্যায় রূপ নেয় শেফ টমি মিয়া-কে ঘিরে মিডিয়া হাউজটি। আড্ডা আর নৈশ ভোজের পর টমি মিয়া যোগ দেন টাইম টেলিভিশনের প্রতিদিনের নিয়মিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘টাইম এক্সক্লুসিভ’-এ। এক ঘন্টার বিশেষ এই অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন রাত ৯টায় শুরু হয়। তবে বিখ্যাত শেফ টমি মিয়া-কে ঘিরে শুক্রবারের ‘টাইম এক্সক্লুসিভ’ অনুষ্ঠানটি ভিন্ন আঙ্গীকে সাজানো হয়। ‘টাইম এক্সক্লুসিভ’ এর ইতিহাসে এদিনই দর্শক উপস্থিতিতে স্টুডিও থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয় এবং অনুষ্ঠান চলে প্রায় দেড় ঘন্টা। এতে টমি মিয়া নিজের জীবন কাহিনী, একজন টমি মিয়া হয়ে উঠা সহ সুধীজনদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও জনাব আবু তাহেরের সঞ্চালনায় ‘টাইম এক্সক্লুসিভ’ অনুষ্ঠানে শেফ টমি মিয়া সহ যোগ দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ ও খলিল বিরিয়ানী হাউজের স্বত্তাধিকারী শেফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান।

‘টাইম এক্সক্লুসিভ’ অনুষ্ঠানে শেফ টমি মিয়া বলেন, ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি শেফের কাজ শিখতে গিয়ে অন্যদেশের শেফদের আমাদের স্যালুট দিতে হয়েছে। সেই থেকে স্যালুট নেওয়ার চ্যালেঞ্চ নিয়েই শেফ হয়েছি। এখন আমাকেই দেশ-বিদেশের শেফরা স্যালুট দেয়। তিনি বলেন, লন্ডন সহ দেশে দেশে আমি বাংলাদেশী খাবারের রেসিপি বানিয়ে জনপ্রিয় করেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, লন্ডনে একটি আর বাংলাদেশী ৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২০ হাজার নতুন শেফ তৈরী করেছি এবং তারা দেশে-বিদেশের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে মর্যাদার সাথে কাজ করছেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে এবার স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশী ফুডের প্রদর্শনী করছি। আশা করছি আগামীতে বড় আকারে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ফুডের প্রদর্শনীর আয়োজন করবো, যা হবে রেকর্ড।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জনাব আবু তাহের শেফ খলিলুর রহমানকে ‘নিউইয়র্কের টমি মিয়া’ আখ্যায়িত করেন এবং তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কে আসার পর আমি যখন সিদ্ধান্ত নেই যে শেফ হবো, তখন পেশাগত শিক্ষা গ্রহণ করি এবং খাবার নিয়ে গবেষনা করি। বিভিন্ন হোটেলে শেফের দায়িত্ব পালনের পর আতœবিশ্বাস থেকেই নিজের মতো করে মানুষকে খাবার খাইয়ে সেবার জন্য রেষ্টেুন্টে ব্যবসা শুরু করি। তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে শেফ-এর কাজ শিখে বিপুর সংখ্যক শেফ এখন বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে কাজ করছেন বলে জানান।

অনুষ্ঠানের দর্শক মঞ্চে বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সাঈদ তারেক, এটর্নী নাজমুল আলম, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ফেরদৌস খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, কবি-সাংবাদিক সালেম সুলেরী, বিশিষ্ট ব্যাংকার ইসমাইল আহমেদ, ট্যাক্স এনরোল্ডসেন্ট এজেন্ট মিয়া মোহাম্মদ আফজাল, মোহাম্মদ চিশতি সিপিএ, ওমনি রিয়ালটির নূরুল হুদা হারুন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট নুরে আলম জিকু, সৈয়দ আল আমীন রাসেল, আব্দুল মজিদ লোদি, জিনাত আবজা, রওনক আবজা প্রমুখ উপবিষ্ট ছিলেন এবং সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ শেফ টমি মিয়ার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন।
সরাসরি সম্প্রচারিত ‘টাইম এক্সক্লুসিভ’ অনুষ্ঠানে টমি মিয়ার উদ্দেশ্যে সরচিত কবিতা পাঠ করেন সালেম সুলেরী।

সর্বশেষ