মিতু হত্যা, সাংবাদিক ইলিয়াসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পিবিআই

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:০৯
...

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংবাদ সম্মেলনে মিতু হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিক ইলিয়াসের ‘মিথ্যা তথ্যের’ বিষয়টিও উঠে আসবে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নানা অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই সদরদপ্তরে মিতু হত্যা মামলা সংক্রান্তে বাবুল আক্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইনের মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। ইউটিউবে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি।

ইলিয়াস হোসাইনের পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন বনজ কুমার। এছাড়া তাকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও রয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে তিনি। তখন থেকে দুটি মামলার তদন্তও করছে পিবিআই।

এদিকে ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। তবে মামলার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

সর্বশেষ