প্রথমবারের মতো কোনো নারী নভোচারী পা ফেলবেন চাঁদে

বাংলা পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ১৯:০৮
...

আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত একাধিক মাইলফলক অর্জনের চেষ্টা করছে, চাঁদে প্রথম নারী নভোচারী পাঠানো তার একটি। পাঁচ দশক পর চন্দ্রপৃষ্ঠে মানব নভোচারীদের ফেরানোর পরিল্পনায় নাসার গন্তব্যস্থল চাঁদের দক্ষিণ মেরু। সব পরিকল্পনামাফিক এগোলে এবারই প্রথম নারী নভোযাত্রীর পদচিহ্ন পড়বে চাঁদের বুকে।

 ৭০-এর দশকের শুরুতেই সমাপ্ত হয় নাসার অ্যাপোলো কর্মসূচী। সফল ওই মিশনগুলোয় চাঁদে প্রথমবারের মতো মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর পাঁচ দশকে আর কোনো মানব পদচিহ্ন পড়েনি চাঁদে। এবার আর্টেমিস মিশনে ফের চাঁদে যেতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যে কয়টি লক্ষ্য রয়েছে মিশনটি ঘিরে তার অন্যতম হচ্ছে - মিশনে অন্তত একজন নারী নভোচারী রাখা যিনি চাঁদে নামবেন।

 আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত একাধিক মাইলফলক অর্জনের চেষ্টা করছে, প্রথম নারী নভোচারী পাঠানো তার একটি। প্রযুক্তি সাইট সিনেট বলছে, কেবল নভোচারী নয়, আর্টেমিস মিশনের উৎক্ষেপণ প্রধান হিসেবেও রয়েছেন একজন নারী - ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন। লক্ষ্য হিসেবে চাঁদের বুকে প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ নভোচারীও রয়েছে নাসার তালিকায়।

 এসবের পাশাপাশি, ২০২৫ সালের আর্টেমিস ৩ মিশনে নভোচারীদের অবতরণের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ১৩টি স্থানের তালিকা প্রকাশ করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।চাঁদের এই অঞ্চলটি এখনও কার্যত অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে মহাকাশ গবেষকদের কাছে। গবেষণা ও তথ্য-উপাত্তের অভাবে পৃথিবীর উপগ্রহের এ অঞ্চলটি ‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ হিসেবেও পরিচিত।

 আর্টেমিস ৩ মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে গবেষণার জন্য পানির বরফের নমুনা সংগ্রহ করবেন নাসার নভোচারীরা। ২০২৫ সালেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আর্টেমিস ৩ অবতরণ করাতে চায় নাসা।চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নিল আর্মস্ট্রং এক ঐতিহাসিক বাণী উচ্চারণ করেছিলেন- “একজন মানুষের ছোট্ট এই পদক্ষেপ আসলে গোটা মানবজাতীর জন্য এক দীর্ঘ লাফ।”

 সেই বাণীর সূত্র ধরেই বর্তমান পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিয়ে নাসার ‘আর্টেমিস ক্যাম্পেইন ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন’-এর উপ সহযোগী প্রশাসক মার্ক ক্রাসেচ বলেছেন, “চাঁদের মানুষ ফেরানোর বেলায় আমরা আরেকটা বড় লাফ দেওয়ার মতো দূরত্বে আছি।”“আগের অন্য যে কোনো মিশনের চেয়ে আলাদা হবে এটি। মানুষের কাছে অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে এমন অঞ্চলগুলোতে পা দেবেন নভোচারীরা, ভবিষ্যতের দীর্ঘ মিশনগুলোর ভিত্তি স্থাপন করবেন তারা।”

সর্বশেষ