স্যার, আমি ওসি টেকনাফ...একটা মহাবিপদে পড়েছি

বাংলা পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০, ১৫:০৮
...
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ নিহত হওয়ার পরপরই নিজেকে রক্ষায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। একাধিক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত একটি ফোনালাপে শোনা যায়, তিনি কোন ব্যক্তির পরামর্শ নিচ্ছেন। সম্ভবত কোনো একজন আইনজীবীর সঙ্গে এ ব্যাপারে শলা-পরামর্শ করেন প্রদীপ।

ফোনালাপের শুরুতেই প্রদীপ নিজের পরিচয় দেন। স্যার, আমি ওসি টেকনাফ প্রদীপ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর ওসি বলেন, স্যার একটা মহাবিপদে পড়েছি, একটু আপনার সাহায্য লাগতো। স্যার আমরা একটা ১৫৩, ১৮৬ ও ৩০৭ এর মামলা নিয়েছি। পরামর্শদাতা বলেন, ৩৫৩ সরকারি কর্মচারী অ্যাসল্টের, আর...। প্রদীপ বলেন, ১৮৬, পুলিশের কাজে বাধা স্যার।

পরামর্শদাতা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত, তাহলে আর এতো ডরের কি আছে। ৩০৪-এ আরেকটি মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন পরামর্শদাতা। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করার পরামর্শ দেন তিনি।

গত ৩১শে জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলায় এরইমধ্যে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত আসামি। ওদিকে, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর দু’টি ফোনালাপও বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। একটি ফোনালাপে প্রদীপ কুমার স্বীকার করেন তিনি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ