সবার জন্য অ্যাফোর্ড্যবল ইন্টারনেট, বাস্তবায়ন ঝুঁকিতে বাইডেনের প্রতিশ্রুতি


প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০২
...
সম্প্রতি নর্থ ক্যারোলিনায় গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেখানে তিনি ইন্টারনেটকে সকল আমেরিকানের জন্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির পক্ষে ক্যাম্পেইন করছিলেন। কিন্তু এর আগে দেশের ২৩ মিলিয়ন পরিবারের জন্য করা ইন্টারনেট সাবসিডির সিদ্ধান্তই এখনো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন থেকে অনেক দূরে পড়ে রয়েছে। আর সে কর্মসূচিটিও শেষ হয়ে যাচ্ছে এই স্প্রিংয়ে। এ অবস্থায় সবার জন্য অ্যাফোর্ড্যবল ইন্টারনেট কিভাবে সম্ভব হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে নেয়া অ্যাফোর্ড্যবল কানেক্টিভিটি প্রগ্রাম (এসিপি)'র আওতায় নির্বাচিত পরিবারকে মাসে ৩০ ডলার ও ট্রাইবাল এলাকাগুলোর পরিবারকে ৭৫ ডলার করে সাবসিডি দেওয়া হচ্ছিলো। তবে এক্ষেত্রে লক্ষমাত্রার মাত্র ৪৩ শতাংশ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে সময়সীমা শেষ হয়ে আসছে। আগামী এপ্রিলেই শেষ হয়ে যাবে এই কর্মসূচির সময়সীমা। তারপরে কি হবে? সে প্রশ্ন করছেন অনেকেই। কর্মসূচিটি চলমান রাখতে এপ্রিল শেষ হওয়ার আগেই কংগ্রেসে এই সময় বাড়িয়ে নেওয়ার বিলে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেছেন, তিনি মনে করেন কংগ্রেসে এখন এটা অগ্রাধিকার হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনেক পরিবারের জন্যই এই ৩০ ডলার একটা বড় বিষয়। এখন যদি এই সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়, তাতে তাদের পরিবারের ওপর চাপ ফেলবে। কারণ পরিবারগুলো এই সাবসিডি থেকে পাওয়া অর্থটুকু বাঁচিয়ে সরাসরি তাদের খাদ্য কেনা বা গ্রোসারিতেই খরচ করতে পারে। কেউ কেউ বলেছেন, চিকিৎসার বিলেও কিছুটা সহায়তা তারা পান এই ছাড়ের কারণে। যা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এসিপি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে মুখের খাবারটাই কেড়ে নেওয়া এমন মন্তব্য করেছেন একজন সুবিধাভোগী সিনিয়র সিটিজেন। তিনি বলেন, আমার এই সেবাটি প্রয়োজন, এবং আমার আরও কিছু সিনিয়র সিটিজেন বন্ধুর জন্য এটা দরকারি।

সবার জন্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইন্টারনেট, বাইডেনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এসিপির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। আর সেটাই বার বার উল্লেখ করেছন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিষয়টিকে তিনি মিলিয়ে দেখছেন ১৯৩০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির সঙ্গে।

বাইডেন বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকলের কাছে নির্ভরযোগ্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া ঠিক ১০০ বছর আগে ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট যেমন সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিদ্যুত।"

এসিপি কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত মাত্র ৪৩ শতাংশ এলিজিবল পরিবারকে ইন্টারনেট সাবসিডি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ