ঢাকায় ঢুকলেই পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে


প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:১২
...
রাজধানীতে ঢোকার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সড়কপথে ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে বের হতে গিয়েও তল্লাশিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে। এছাড়া রাজধানীর ভেতরে যারা চলাচল করছেন তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা, ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ না পায় সেজন্য নিরাপত্তা তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

রাজধানীর গাবতলী, উত্তরা, সায়দাবাদ এবং বাবু বাজার ব্রিজ রাজধানীতে ঢোকার অন্যতম পথ। এসব জায়গায় কড়া অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়া বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরায়। ঢাকায় আসার সুনির্দিষ্ট কারণ জানিয়ে যে যার মতো চলেও যাচ্ছেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উত্তরা দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনে করে অনেকেই ঢুকে থাকেন। যারা রাজধানীতে ঢুকছেন, তাদের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে পারলেই তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। চেকপোস্ট পরিচালনা সতর্কতা অবলম্বন করেই করা হচ্ছে।রাজধানীতে ঢোকার এন্ট্রি পয়েন্টে নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হচ্ছে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে। প্রতিটি বাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিতে করে আসা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সাভার থেকে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসা রফিকুল গাবতলীতে পুলিশি জেরার মুখে পরেন। পরে কারণ বলে সন্তুষ্ট করতে পারায় তিনি ঢুকতে পারেন। তাকে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। এ সময় রফিকুল বলেন, আমি কোথায় যাবো তা জানতে চেয়েছিল পুলিশ। সব ঠিকঠাক বলে এখন যাচ্ছি।ট্রেন থেকে নেমে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশের জেরার মুখে পড়েন অনেকেই। তল্লাশি করা হয় তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলো।

রাজধানীর শ্যামলীর বাসিন্দা শাহজাহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ১০ ডিসেম্বর কী হবে না হবে, সংঘর্ষ কোন পর্যায়ে যায় এ নিয়ে আমরা আতঙ্কিত রয়েছি। তবে আমরা চাই সব কিছু ঠিকঠাকমতো শেষ হোক। কোনও সংঘর্ষ হলে এসবের প্রভাব সড়ক চলাচলে আমাদের ওপর প্রভাব পড়ে।

গাবতলী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট জহির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঊর্ধ্বতন স্যারদের নির্দেশে আমরা চেকপোস্ট পরিচালনা করছি। গাড়ির কাগজপত্র চেক করছি। ঠিকঠাক না থাকলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আমিনুল বাশার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান ও তল্লাশি চলমান থাকবে।

সর্বশেষ