নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, সভা-সমাবেশের অধিকার রক্ষা ও ঘটনা তদন্তের আহ্বান 


প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:১২
...
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকার নয়াপল্টনে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (বুধবার) রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই উক্ত বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।

নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ওই বিবৃতিতে পিটার হাস বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল ঢাকায় নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।"

সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে মার্কিন দূত বলেন, "সহিংসতার এই খবরগুলোর সুস্থ তদন্ত করতে এবং মত প্রকাশ, সভা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা সরকারি কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করছি।"

এর আগে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনার মধ্যে দলটির কর্মীরা বুধবার নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়।বিকালে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ পরে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়া পল্টন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশসহ আহত হন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে মকবুল নামে ৩২ বছর বয়সী এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মকবুল স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা বলে বিএনপি নেতাদের ভাষ্য।

কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশের এমন অভিযানকে ‘জঘন্য’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ ‘পরিকল্পনা নিয়েই’ অভিযানে এসেছিল।তবে পুলিশ সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, বিএনপির কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছুড়ে মারায় পুলিশ বাধ্য হয়ে অভিযান চালায়।

সর্বশেষ