রোমান্সে ভরা লড়াইয়ে সেনেগাল দ্বিতীয় রাউন্ডে


প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৮:১১
...

অবিশ্বাস্য এক লড়াইয়ের জন্ম দিলো খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। ৪৫ হাজার ফুটবলভক্ত সাক্ষী।  উত্তেজনা আর রোমান্সে ভরা এই খেলায় জয় পেয়েছে আফ্রিকান নেশনস কাপ চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল। মাত্র এক পয়েন্টের দরকার ছিল ইকুয়েডরের। কিন্তু সে স্বপ্ন ভেঙে গেল ইসমাইলা সারের দেয়া পেনাল্টিতে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ওয়াটফোর্ড ক্লাবের ফরোয়ার্ড  ইসমাইলা সার বরাবরই আলোচিত। 

সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি শট নেন অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। এভাবেই খেলাটা চলছিল। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল ইকুয়েডর। ২৩ মিনিট পর্যন্ত সেনেগাল গোলটি ধরে রেখেছিল। কিন্তু প্রচণ্ড চাপের মুখে ৬৭ মিনিটে ইকুয়েডরের সেইসেডো গোল করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। 
ইকুয়েডরের গোলটি আসে কর্নার শট থেকে।

সেইসেডো এদিক সেদিক না তাকিয়ে বলটি  জালে পাঠিয়ে দেন। ভিএআর অফসাইডের অভিযোগ নাকচ করে দেয়। কে জানতো যে আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে! শুরু হয় এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই।  এর পরের নাটক রোমাঞ্চকর এবং মজাদার। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় চেলসির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার  কুলিবালি  গোল করে বসেন।  হোয়াট এ ড্রামা!  কুলিবালি ঝামেলার মধ্যে আচমকা বল পাঠান ইকুয়েডরের জালে।  খেলার ফলাফল তখন ২-১।

সেনেগালের দ্বিতীয় পর্বে ওঠার জন্য এটাই দরকার ছিল। ইকুয়েডর হতবাক, তাজ্জব। কী হয়ে গেল! আবার খেলায় ফিরে আসলো ইকুয়েডর। প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করলো। গোলের সুযোগও এসেছিল, কিন্তু তাদের স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে বিধি হয়তো সেটাই লিখে রেখেছিলেন। এর জন্য ইকুয়েডর কাকে দায়ী করবে? তারা যেভাবে খেলার প্রথমার্ধে ডিফেন্সিভ খেলেছে এর জন্য মূল্য দিতে হয় এবং দিয়েছে।  

সেনেগালের টপ ফরওয়ার্ড  সাদিও মানে  থাকলে হয়তো জয় পাওয়া আরও সহজ হতো।  মানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ মাতিয়ে রাখতেন। এখন আছেন জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখে । কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে তিনি ইনজুরিতে পড়েন। তাই তার কাতার আসা হয়নি। এখানে উল্লেখ করতেই  হয়,  ২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসে সাড়া জাগিয়েছিল সেনেগাল। হারিয়ে দিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে।  কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠেছিল।  যাইহোক, অনেকদিন পর তুমুল এক লড়াই হয়ে গেল । যে লড়াই ছিল জীবন মরণের। ইকুয়েডর বিদায় নিলো অনেক আশা জাগিয়ে।

সর্বশেষ