প্রেসিডেন্টের জবাবদিহিতা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন

মোহাম্মদ আবুল হোসেন
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:১১
...

একটি রাষ্ট্রের ভেতরে গণতন্ত্র কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে সংবিধান, কংগ্রেস এবং সরকার ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে- যাতে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে। নির্বাচিত কোনো দলের প্রেসিডেন্ট যাতে স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারেন- সে জন্য সেখানে কংগ্রেসকে করা হয়েছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। প্রেসিডেন্ট কোনো আইন করতে গেলে এসব কক্ষের সম্মতি নিতে হয়। প্রস্তাব নিয়ে দুই কক্ষে তুলোধোনা বিতর্ক হয়। তারপর হয় ভোট। ভোটে উৎরে গেলেই প্রস্তাবটিতে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করেন। প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা, তার পারফরমেন্স যাচাই করার জন্য কংগ্রেসে রাখা হয়েছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এ সময়ে ১০০ আসনের কংগ্রেসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এবং প্রতিনিধি পরিষদের মোট ৪৩৫ আসনের সবটাতে ভোট হয়। দুই কক্ষের নিয়ন্ত্রণের সরলদোলক এতে দুলতে থাকে।

যদি ক্ষমতাসীন দল দুই কক্ষেই মোট আসনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, তাহলে তারা নিয়ন্ত্রণ হারায়। এর ফলে বিপদে পড়ে যান প্রেসিডেন্ট। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘লাম ডাক’। তার করার কিছুই থাকে না। 

কোনো কাজ করতে গেলেই তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয় কংগ্রেসে। এই ভয়টা থাকে প্রেসিডেন্ট এবং ক্ষমতাসীন দলে। তারা জানেন নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হলেই, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ তারা পেলেই চার বছর ঘুমিয়ে পার করে দিতে পারবেন না। কারণ, দুই বছরের মাথায় তাদেরকে আবার ভোটারের কাছে ছুটতে হবে। তাদের জনপ্রিয়তার কথা বলতে হবে। সেই ভোটাররা যদি তাদেরকে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ দেয়, তবে ক্ষমতাসীন দলের সোনায় সোহাগা। এর অন্যথা হলে শক্তিশালী হয়ে ওঠে বিরোধী দল। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল এটা জানে বলেই তারা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে, নীতি গ্রহণের সময় সবার আগে জনগণের কথা মাথায় রাখেন। তারা জানেন, দুই বছরের মাথায় ওই জনগণের কাতারে তাদেরকে ফিরে যেতে হবে। তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তারা অন্যায় করতে পারেন না। তারা জনগণকে তোয়াজ করে চলেন। তাদের ভয়ে থাকেন। অথচ দেশের বাইরে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় সবচেয়ে শক্তিধর। তিনিই তার দেশবাসীর দিকে তাকিয়ে থাকেন অসহায়ের মতো। একেই বলা হয় গণতন্ত্র। যে গণতন্ত্র সংজ্ঞায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট, দুর্ধর্ষ সংগ্রামী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব আব্রাহাম লিঙ্কন।

তিনি বলেছেন গণতন্ত্র হলো- Government of the people, by the people, for the people. বাংলায় এর অর্থ- গণতান্ত্রিক সরকার হবে জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে গেল কংগ্রেসের অতি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন। এতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল করতে পারেনি রিপাবলিকানরা। নির্বাচনের আগে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে এবং তাদের ভূমিধস বিজয় হবে। এর আগে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টদের বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে। হয়তো সিনেট না হয় প্রতিনিধি পরিষদ না হয় উভয়টিই বিরোধী দলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি বা গণভোট হিসেবে। সেই হিসেবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাগ্য ভালো। তার দল নির্বাচনে ভালো ফাইট দিয়েছে। তারা কঠিন লড়াইয়ে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদ হারাতে চলেছে অল্প ব্যবধানে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জো বাইডেন ও ডেমোক্রেটরা। মুদ্রাস্ফীতি, গর্ভপাত, জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি সহ নানা ইস্যুতে তাদের বড় ভয় ছিল। পর্যবেক্ষকরাও সেই ভয়ের আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে সিনেটে বা প্রতিনিধি পরিষদে এমন কিছু মানুষকে রিপাবলিকানরা প্রার্থী করেছিল, যারা ট্রাম্পের ২০২০ নির্বাচনে জালিয়াতির পক্ষে এখনো সাফাই গেয়ে বেড়ান।

এদেরকে সমর্থন দিয়েছিলেন ট্রাম্প নিজে। তিনি তাদের প্রচারণায়ও ছিলেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই পরাজিত হয়েছেন ডেমোক্রেটদের কাছে। এ জন্য ফল রিপাবলিকানদের পক্ষে যায়নি। এ জন্য রিপাবলিকানরাই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তারা এ জন্য দায়ী করছে ট্রাম্পকেই। এরই মধ্যে ১৫ই নভেম্বর তৃতীয়বার হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুধু সিরিয়াস এক প্রশ্নেরই সৃষ্টি করেনি। সঙ্গে সঙ্গে চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ২০১৬ সালের নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে তিনি কীভাবে দেশকে বিভাজিত করেছেন। তার ক্ষমতায় থাকা চারটি বছর কি পরিমাণ বিশৃঙ্খল ছিল। জো বাইডেনের কাছে তার পরাজয় এবং তারপর ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারিতে তিনি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতায় কীভাবে উস্কানি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রিপাবলিকান দল থেকে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা রিপাবলিকান দলের জন্যই অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে ধারণা করা হয়েছিল রিপাবলিকানরা যুক্তরাষ্ট্রে ‘লাল ঢেউ’ সৃষ্টি করবেন। কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য অনেকে, এমনকি রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন। রিপাবলিকানদের ব্যর্থতার জন্য বহুল প্রত্যাশিত কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ডেমোক্রেটদের হাতে।

অন্যদিকে সামান্য ব্যবধানে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। এসব প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক যে পটভূমি তা বদলে গিয়েছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে, নির্বাচনের ঠিক আগে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি’স্যান্তিসকে দৃশ্যত হুমকি দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ডি’স্যান্তিস যেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে না দাঁড়ান এমন হুমকি দিয়ে বলেছেন- যদি ডি’স্যান্তিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তার সম্পর্কে তার স্ত্রী যা না জানেন, তা ফাঁস করে দেবেন ট্রাম্প। এটা রীতিমতো হুমকি। ট্রাম্পের এমন হুমকিতে রন ডি’স্যান্তিস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বা তার স্ত্রী যে বোকা এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তার স্ত্রী নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, ডি’স্যান্তিসকে বসিয়ে দেয়ার জন্য এমন ‘ফাঁকা’ হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তাই আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে ট্রাম্পকে ছেড়ে মনে হচ্ছে কথা বলবেন না ডি’স্যান্তিস। এরই মধ্যে রিপাবলিকান দলকে বিভক্ত করে ফেলেছেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন অনেকে। ফলে ট্রাম্প যতটা ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন ভেবেছেন তা সম্ভবত হচ্ছে না। তার সামনে তুরুপের তাস হয়ে হাজির হতে পারেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি’স্যান্তিস, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ, মিসৌরির সিনেটর জোশ হাউলি, ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন, সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি, সেনা কর্মকর্তা মাইক পম্পেও এবং উইওমিং রাজ্যের কংগ্রেসওমেন লিজ চেনি।  

রন ডি’স্যান্তিস

জরিপ বলছে, ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরবর্তী নির্বাচনে উঠে আসতে পারেন ফ্লোরিডার এই গভর্নর। মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরে এক জরিপে অংশগ্রহণকারীরা রন ডি’স্যান্তিসের ওপর ভরসা রেখেছেন। নিজের রাজ্যে তিনি ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করেছেন। নিষ্ঠুর কৌশল অবলম্বন করেছেন। তাতে তিনি আবারো গভর্নর নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন। রিপোর্ট বলছে, ডি’স্যান্তিস জানেন তিনি যদি ট্রাম্পের মুখোমুখি হন তাহলে হয়তো জিততে পারবেন না। তাই তিনি এ সময়ে পথ ছেড়ে দিতে পারেন। সময়ও ডি’স্যান্তিসের পক্ষে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে ২০২৮ সালে হবে পরবর্তী নির্বাচন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প যদি বিজয়ী হনও, তবু ২০২৮ সালে সাংবিধানিক নিয়মে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তখন তার বয়স হবে ৮২ বছর। আর ডি’স্যান্তিসের বয়স হবে মাত্র ৫০ বছর। ফলে তার জন্য বিশাল এক সময় পড়ে আছে।  

মাইক পেন্স

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্য সফর করেছেন। সেখানে তার উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে পরিষ্কার করেছেন। বক্তব্য রেখেছেন রক্ষণশীল গ্রুপগুলোতে, লিখছেন স্মৃতিকথা। আর এর মধ্যদিয়ে ‘সূচের ছিদ্র দিয়ে উট চালিয়ে নেয়ার’  চেষ্টা করছেন। এর মধ্যদিয়ে ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যখন ট্রাম্পের অনুসারীরা ক্যাপিটল হিলে হামলা, নৃশংসতা চালায়, তখন মাইক পেন্স ক্যাপিটল হিলের শুনানিতে। ট্রাম্পের তখন এবং এখনকার দাবি ২০২০ সালে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে, তা জালিয়াতিতে পূর্ণ। তবে এ অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। ট্রাম্প চেষ্টা করেছিলেন নির্বাচনের ফল আটকে দিতে। তাতে রাজি ছিলেন না মাইক পেন্স। তার এই প্রত্যাখ্যান এবং ভূমিকার জন্য হয়ে ওঠেন একজন বীর। এ ছাড়া তিনি লিখেছেন ‘সো হেল্প মি গড’। এই বইয়েও তিনি ডনাল্ড ট্রাম্পের অনেক সমালোচনা করেছেন। ফলে তিনিও প্রাইমারি নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারেন।  

টেড ক্রুজ

টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে তিনি ট্রাম্পকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু আত্মসম্মানের কারণে তিনি ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য দেখান। সরে দাঁড়ান নির্বাচন থেকে। প্রতিদান হিসেবে দলের ভেতরে তিনি উচ্চ পদ পান। সেখান থেকে দলের কঠোর প্রচারণায় নেমে পড়েন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডি’স্যান্তিসের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন  টেড ক্রুজ।  

জোশ হাউলি

এ দৌড়ে থাকতে পারেন মিসৌরির সিনেটর জোশ হাউলি। ৬ই জানুয়ারি যখন ক্যাপিটলের বাইরে বিক্ষোভ হয় তখন তিনিই বজ্রমুষ্টি উত্তোলন করেছিলেন। যখন দাঙ্গা শুরু হয় তখন তিনি সেখান থেকে দৌড়ে পালান। এ জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোর ফল প্রত্যাখ্যান করার পক্ষে ভোট দেন। তিনি রিপাবলিকান কট্টরপন্থিদের কাছে বিখ্যাত। এখন তার বয়স ৪২ বছর। এবার যদি তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন তাহলেও তার সামনে সুযোগ থেকে যাবে, যখন ট্রাম্প আর নির্বাচন করবেন না।  

গ্লেন ইয়ংকিন

ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে ডেমোক্রেটপন্থি ভার্জিনিয়ায় গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন গ্লেন ইয়ংকিন। তিনি দাঁড়িয়ে যেতে পারেন লড়াইয়ে।  

নিকি হ্যালি

সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দু’বছরের মাথায় দায়িত্ব থেকে সরে যান। তিনি ভারতীয় ঐতিহ্য সংবলিত। তিনিও প্রাইমারিতে জানান দিতে পারেন। একই পথ ধরতে পারেন কানসাসের কংগ্রেসম্যান, সিআইএ’র সাবেক পরিচালক মাইক পম্পেও। আরও আছেন উইওমিংয়ের রিপাবলিকান অনুগত সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনি। তিনি কট্টর একজন রক্ষণশীল। ক্যাপিটলে হামলার পর তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।  

সর্বশেষ